আমার শহর শিলিগুড়িঃ করোনায় বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। দীর্ঘদিন ধরে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে মানুষের প্রতিদিনের জীবন। ঠিক এরই মাঝে “বিধ্বংসী আম্ফান।” যার দাপটে লন্ড-ভন্ড এবং বিপর্যস্ত দক্ষিনবঙ্গের জনজীবন। বিধ্বংসী এই ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ছাড়ানোর আশঙ্কা। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১৩।
গতকাল বিকেলেই দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়ে এই বিধ্বংসী আম্ফান। যার দাপটে উপকূলবর্তী জেলাগুলির অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ, ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে প্রচুর। আম্ফানের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে কন্ট্রোলরুম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন, “আমরা ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছি,সব শেষ। পুরোপুরি বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গ ।” তিনি আরও বলেন -“কোরোনার থেকেও বড় বিপর্যয় আম্ফান। মানুষের প্রচুর সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে । প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুর। সর্বত্র গাছ উপরে পড়েছে, রাস্তাঘাট, স্ট্রিট লাইট, ঘরবাড়ি সব নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে এখনো ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে । “
তিনি বলেন-“এই মুহূর্তে রাজ্যে লক্ষ- কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবার সব নতুন করে তৈরি করতে হবে। তবে, মানুষের পাশে সরকার ছিল,আছে এবং থাকবে।” এই পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে তিনি কেন্দ্রের সাহায্য চাইছেন ।তবে তিনি কেন্দ্রের কাছে একটাই আবেদন করেছেন যে এই বিষয় নিয়ে যেন কোনও রকম রাজনীতি করা না হয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খতিয়ে দেখবার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আজ বিকেল তিনটের সময় টাস্ক ফোর্সের মিটিং হবে। সেখানে উদ্ধার কার্য কিভাবে দ্রুত করা যায় এবং আম্ফান পরিস্থিতির মোকাবিলায় যাবতীয় পদক্ষেপ কিভাবে গ্রহন করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত আম্ফান পরিস্থিতি সম্পর্কে কোন রকম আশ্বাসের কথা শোনা যায় নি।
আম্ফান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
